মহা অধিবাসের আগের দিন ভোর বেলা আযান দেওয়ার সময় প্রতিমা ভাঙ্গচুর করলো মৌলবাদীরা। ৮ অক্টোবর ভোর বেলা রাজবাড়ী বড়পুল বাস মালিক সমিতি মন্দিরের প্রতিমা ভেঙ্গে দেয় মৌলবাদীরা। এর পরপরেই প্রশাসন এসে মণ্ডপ সম্পূর্ণ রুপে ব্লক করে রাখে যাতে হামলার ঘটনা ও প্রতিমার ছবি প্রচার না হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর পুশির সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, জেলায় এ বছর ৪৪৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আটজন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে থাকবেন ছয়জন আনসার সদস্য। সাধারণ পূজামণ্ডপে নিয়োজিত থাকবেন চারজন আনসার সদস্য। ‘পুলিশের টহল টিম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে থাকবে। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা কাজ করবেন। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য সরবরাহের কাজ করবে। সেনা প্রধানের আশ্বাস, পুলিশ সুপারের আশ্বাস সবই যেন লোক দেকানো।
মৌলবাদীরা তাদের খুশি মত যখন যেখানে ইচ্ছে প্রতিমা ভাঙ্গচুর করেই যাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে হিন্দুরা কতটুকু ভাল আছে তা আন্দাজ করা যায় এসব ঘটনার মাধ্যমে। এভাবেই শুরু হলো বাংলাদেশে বড় উৎসব দূর্গা পূজা।